যশোরে পুলিশের সকল প্রকার বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা । এই সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ । এরপর অন্তত ৬ শিক্ষার্থীকে সেখান থেকে আটক করা হয়।
শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি আদায় করার লক্ষ্যে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের সময় আজকে বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ – সুপারের কার্যালয়ের সামনে এই লাঠি চার্জের ঘটনা ঘটে । এই ঘটনায় প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন , এবং এদের মধ্যে দুইজন শিক্ষাথীর অবস্থা গুরুতর। তাঁরা যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । এবং অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আপাতত বাড়ি ফিরে গেছেন।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর ডাকা গতহত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে ও জাতিসংঘের তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবিকে আদায়ে সকাল থেকে যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা একত্রে জড়ো হতে থাকেন।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারী সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে যশোর পৌরসভার সামনে এসে জড়ো হন। এ সময় মিছিলের চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ । এরপর যশোর শহরের ঈদগাহ মোড় থেকে সকল শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ – সুপার কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হন। এই সময় পুলিশ তাদের কে বাধা দিলে তারা সেটা উপেক্ষা করেই মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে থাকেন। এরপর যশোর এর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে এসে মিছিলটি পৌঁছাই। সেখানে এসে একাধিক কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য ,ডিবি পুলিশের সদস্যরা এসে এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে এবং ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে শহরের ঈদগাহ ময়দান এলাকা হতে আকাশ, রানা,রনি, রিয়াজ ,তৌহিদুল, এবং ইব্রাহিম নামের ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
বৈষম্য- বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর যশোর এর সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন যে , পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে । বেশ কয়েকজনকেই আটক করা হয়েছে। কোনো প্রকার বাধা দিয়ে, আটক করে আমাদের এই আন্দোলনকে প্রতিহত করা যাবে না । আমরা রাজপথে ছিলাম, আছি,থাকবো।
তবে উক্ত ছয় শিক্ষার্থীকে আটকের বিষয়ে যশোরের জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আটককৃতদেরকে তাদের অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।