রোববার (১৯ নভেম্বর) আহমেদাবাদের আইকনিক নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অজিদের কাছে স্রেফ উড়ে গেছে টিম ইন্ডিয়া। এদিন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-কোনও বিভাগেই প্যাট কামিন্স বাহিনীর সঙ্গে পেরে উঠেনি তারা। এজন্য মূলত একাদশের ৫ ক্রিকেটারকে দায়ী করা হচ্ছে। তারা হলেন-
রোহিত শর্মা: ভারত অধিনায়ক হয়তো শুরুটা ভালো করেছিলেন। কিন্তু দল নির্বাচনে একটি বড় ভুল করেছিলেন তিনি। আহমেদাবাদে মন্থর উইকেট রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলাননি তিনি। । তিনি না থাকায় বিকল্প কম পেয়েছে ভারত। আবার ৪৭ রান করে আউট হয়েছেন রোহিত। আরেকটু ধরে খেলতে পারতেন তিনি। সর্বোপরি যে শট খেলে আউট হয়েছেন তা তার মতো ব্যাটারের কাছে বেমানান।
শ্রেয়াস আইয়ার: শ্রেয়াস যখন ব্যাট করতে আসেন তখন ভারতের দুই উইকেট পড়ে গিয়েছে। তার উচিত ছিল বিরাট কোহলির সঙ্গে ইনিংস টানা। কিন্তু মাত্র ৪ রানে আউট হয়ে যান তিনি। বিশ্বকাপটা দারুণ কাটালেও ফাইনালে তার দ্রুত আউট হওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকরা।
লোকেশ রাহুল: হতে পারে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি ৬৬ রান করেছেন রাহুল, কিন্তু এই ইনিংসের জন্য ১০৭ বল খেলেছেন তিনি। মাত্র একটি চার মেরেছেন। মাঝের ওভারে রাহুলের জন্যই রানের গতি কমে গিয়েছিল ভারতের। ধীরে শুরু করলেও তার উচিত ছিল বড় রান করা। সেটা করতে পারেননি রাহুল।
সূর্যকুমার যাদব: শেষদিকে ভারতের ইনিংস নির্ভর করছিল সূর্যকুমারের ওপর। নিচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে খেলতে গেলে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হতো সূর্যকে। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি।। সেই সঙ্গে নিজেও রান করতে পারেননি। ভারতের রান কিছুটা কম হওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ সিরাজ: আগের সব কটি ম্যাচে নতুন বলে সিরাজ বল করেছেন। কিন্তু সেই সব ম্যাচে ভারত বড় রান করায় সিরাজ রান দিলেও ততটা সমস্যা হয়নি। কিন্তু ফাইনালে রান কম হওয়ায় সিরাজের ওপর আস্থা না রেখে শুরুতেই শামিকে এনেছেন রোহিত। এত দিন পুরানো বলে ভালো করছিলেন শামি। এই ম্যাচে সেটা দেখা যায়নি। পরের দিকে এসে উইকেট নিতে পারেননি সিরাজ। আর এটাও ভারতের হারের আরেকটি কারণ।