বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘একলা চলো রে ২.০(রবীন্দ্র সন্ধ্যা)’। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ২য় তলায় এ অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বুটেক্সের সাংস্কৃতিক বিষয়ক ক্লাব “বুটেক্স সাহিত্য সংসদ”। তাঁদের নিবেদন ও সৃজনশীলতায় মঞ্চে যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও চেতনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, উপ-রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ।
সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া এই আয়োজনে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয় গান, আবৃত্তি ও নৃত্য। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে উঠে আসে কবিগুরুর জীবনদর্শন, প্রেম, দেশপ্রেম ও মানবতাবোধের অনুপম ছোঁয়া। ‘একলা চলো রে’ সিরিজের দ্বিতীয় আয়োজনটি ছিল আরও বিস্তৃত, সুসংগঠিত এবং হৃদয়গ্রাহী।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় তুমি রবে নীরবে, আগুনের পরশমণি, ”
আজি ঝরঝর মুখর বাদল দিনে গানগুলো দর্শকদের আবেগে ভাসিয়ে তোলে। নৃত্য পরিবেশনাগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে এক অপূর্ব রূপ নেয় রবীন্দ্রসংগীত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো: জুলহাস উদ্দীন তার বক্তব্যে বলেন, সবাইকে রবীন্দ্র সন্ধ্যার শুভেচ্ছা। জীবনটাকে উপভোগ করতে হলে, পড়াশোনার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চারও প্রয়োজন আছে।আশা করি ভবিষ্যতেও এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে ক্লাবের সভাপতি সৌরভ চৌহান বলেন, বুটেক্স সাহিত্য সংসদ সবসময় চেষ্টা করে,বস্ত্র প্রকৌশল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে সাহিত্যের ক্ষুধা জাগিয়ে রাখতে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই আয়োজন।এখানে ৫০ থেকে ৪৬ পর্যন্ত সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে,যা অনুষ্ঠানটিকে আরো প্রাণোচ্ছ্বল করেছে।আমাদের প্রচেষ্টায় রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকবে আমাদের মাঝে,এই প্রত্যাশা।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক অর্পন সাহা বলেন, ‘একলা চলো রে’ আমাদের একটা ভালোবাসার জায়গা। আগেও করেছি, এবারও চেষ্টা করেছি যেন রবী ঠাকুর কে যেন আরও গভীর ভাবে অনুভব করা যায়,
অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও টিম যেভাবে দিনরাত খেটেছে, সেটাই ছিল আসল অনুপ্রেরণা। আমরা চাই, সাহিত্য আর সংস্কৃতি যেন শুধু বইয়ের ভেতর না থাকে। ক্যাম্পাসের প্রতিটা কোণেই যেন সেগুলো ছড়িয়ে পড়ে। ‘একলা চলো রে ২.০’ তারই একটা ছোট্ট চেষ্টা ছিল।


