নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা অর্থনৈতিক বিষয়ে দক্ষ হলেও রাজনৈতিক বাস্তবতা বুঝতে অপারগ। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হওয়া ফারাক্কা পানি চুক্তির নবায়ন অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারবে না; এটি কেবল রাজনৈতিক সরকারের পক্ষেই সম্ভব।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৪৯তম ফারাক্কা লংমার্চ দিবস’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৪০ হাজার কিউসেক পানি পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব রাজশাহীসহ পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে স্পষ্ট। তিনি বলেন, এখন এমন অবস্থা যে পদ্মা নদী পার হওয়া যায় হেঁটে।
আলোচনায় মান্না প্রধান উপদেষ্টার কিছু পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডর’ বিষয়ে উপদেষ্টা কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি নিয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
সভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, যাঁরা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরাই একসময় পানিবণ্টনে ভারতের বৈষম্য নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। অথচ এখন তাঁরা নীরব। তিনি বলেন, পানি না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণে একটি সরকারি সংস্থা থাকা জরুরি এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্যোগ নিতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম, যিনি ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা।