এসএসএফের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী যিনি সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছেন। তিনি ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ঘটনা তুলে ধরে বলেছেন, ঘটনায় উদ্ধারকাজের একপর্যায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে উদ্ধার কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বলেন, অনেক তো উদ্ধার হলো, এবার আটকে পড়াদের চাপা দিয়ে দিন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে তা করতে রাজি হননি তিনি।
প্রথমে তাকে জীবিত কিংবা মৃত শেষ ব্যক্তিটাকে উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চালানোরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরে শেখ হাসিনা বলেন, স্পেক্ট্রা গার্মেন্টস নামে একটি গার্মেন্টস বিএনপির আমলে ধ্বংস হয়েছিল এবং ঐ ঘটনায় মানুষ চাপা দেওয়া হয়েছে, কাউকে উদ্ধার করা হয়নি। গতকাল বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐ সময় উদ্ধারকাজে সার্বিক তদারকির দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন। যার প্রধান ছিলেন সাভারের জিওসি চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে কারাগারে থাকা সাবেক এই এসএসএফ প্রধান মুক্তি পান গত ৬ আগস্ট। তার দাবি, রানা প্লাজায় নিহতের সংখ্যা কম দেখাতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সাভারের রানা প্লাজা ধস দেশের ইতিহাসে বড় হৃদয়বিদারক ঘটনা। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ১০তলা রানা প্লাজা ভবন ধসে নিহত হন এক হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক। আহত হন দুই হাজারের বেশি মানুষ। জীবিত উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৮ জনকে।
রানা প্লাজা থেকে ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার হন রেশমা। আলোচিত ঘটনা সম্পর্কে সন্দেহ রয়েছে অনেকেরই। এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সার ওয়াদী বলেন, রেশমাকে উদ্ধারের পর অনেক কথা হয়েছে। সংসদে এটা নিয়ে প্রতিবাদও হয়েছে। কীভাবে উদ্ধার হলো, কী হলো এসব জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি নিজে এবং অন্যান্য সংগঠন থেকে বলা হয়েছিল এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হোক। অনেক মিডিয়া টেলিভিশন তার এবং রেশমার কাছ থেকেও ইন্টারভিউ নিয়েছিল। পরে রেশমা একটি পাঁচ তারকা হোটেলে চাকরি করত এসব কেউ প্রচার করেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।