হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে সফল হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্য বিলুপ্ত করতে তারা বীরদর্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আগ্নেয়াস্ত্রের সামনে। জীবন বিসর্জন দিয়ে সবার জন্য এনেছে এক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।
তাদের স্মৃতিকে চির অম্লান রাখতে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যা’। এ সময় কাওয়ালী, গান ও একক কবিতায় মেতে ওঠে হাজারো শিক্ষার্থী ।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে ‘আজাদী মঞ্চ’র উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । এতে ঢাকা থেকে আগত ওস্তাদ জুলকারনাইন কাওয়াল ও তারেক রহমান কাওয়ালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আকন্দ বলেন, দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যায় আজকের এই আয়োজন যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে করতে পেরেছি প্রথমেই সেই শহীদদের স্মরণ করছি।মহান আল্লাহ সবাইকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন। সেই সাথে যারা আহত হয়েছেন,শ্রম দিয়েছেন সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি আরো বলেন, তাদের ঋণ আমরা কখনো ল শোধ করতে পারবো না। অন্তত ভালোবাসা দিয়ে, দেশীয় সংস্কৃতি, আমাদের বিশ্বাসের সংস্কৃতি,বাংলাদেশের মানুষের মাটি ও মানুষের সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সেই ঋণ শোধ করতে চাই।
অনুষ্ঠান দেখতে আসা সুহাইল মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,জুলাইয়ে স্বৈরাচারের হামলায় সবাই কাম্পাস ছাড়া ছিলাম। দীর্ঘদীন পর আজ কাম্পাসে আধিপত্যবাদী অপশক্তি ও শহীদ স্মরণে আয়োজিত কাওয়ালী সন্ধ্যায় কাম্পাসের নীরবতা আজ ‘মওলা মওলা মওলা মেরি মওলার’ সম্মিলিত আওয়াজে ম্লান। ৭৫৩ একরের কাম্পাস হোক ছাত্রদের, সাংস্কৃতির, ঐতিহ্যের।
রাজশাহী নগরীর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষের সসমাগম ঘটে কাওয়ালী সন্ধ্যায়।
আরএ//