রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের (আইবিএ) পুরাতন সিলেবাস পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করে তারা। এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সাথে প্রশাসনের কিছু ব্যক্তির বাক-বিতণ্ডা হয়।
এর আগে নতুন সিলেবাস বাতিল এবং পুরাতন সিলেবাস পুনর্বহালের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর তারা বিক্ষোভ করে এবং সিদ্ধান্তের জন্য দুই কার্যদিবস ধার্য্য করে দিয়েছিল। কিন্তু দুই দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাতিল না হওয়ায় তারা আবার মানবন্ধন করে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আগের সাতটা ব্যাচের যে কারিকুলাম ছিল সেটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিকমানের। কিন্তু বর্তমান সিলেবাস একদমই ভিন্ন। তাছাড়া আমাদের তিনমাস ক্লাস করানোর পর হঠাৎ সিলেবাস পরিবর্তন সেশনজট সহ নানান ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। তাই আমরা চাই আমাদের পুরাতন সিলেবাস পুনর্বহাল করা হোক।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আইবিএ’র প্রভাষক এটিএম সাহেদ পারভেজ বলেন, ৭টা ব্যচের শিক্ষার্থীরা একটা সিলেবাস নিয়ে পড়াশোনা করছে। আর নতুন শিক্ষার্থীরা নতুন কারিকুলাম নিয়ে পড়াশোনা করলে জব সেক্টরে তারা সমস্যার সম্মুখীন হবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করা কষ্ট হয়ে পড়বে। আইবিএতে কারিকুলাম পরিবর্তন হয়েছে অথচ আইবিএ শিক্ষকদের হুশ নেই, তারা সবজি চাষে ব্যস্ত। আইবিএ’তে যোগ্য শিক্ষক থাকা সত্বেও প্রশাসন অন্য বিভাগ থেকে নিয়ে এসে ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদে বসিয়ে দেয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
কারিকুলাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইবিএ’র পরিচালক অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কারিকুলামে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। শুধুমাত্র তাদের মিড-টার্ম পরিক্ষাটা নেওয়া হবে না আর সব ঠিকই আছে। এছাড়া আন্দোলনে উপস্থিত প্রভাষক শাহেদ পারভেজ বেশ কিছুদিন আগে সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত রয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, প্রতিটি বিভাগে সিলেবাস বা কারিকুলাম প্রণয়ন একটা কমিটি থাকে তারা চাহিদা অনুযায়ী সিলেবাস প্রণয়ন করেন। এরপরে সেটি ডিনস বরাবর পেশ করেন ডিন অফিস সেটিকে সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করলে সিন্ডিকেট অনুমোদন দেন। এই বিষয়ক একটা কমিটি কাজ করেন যেটা একাডেমিক কাউন্সিল নামে পরিচিত যেখানে অনেক সিনিয়র অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞরা থাকেন। উনাদের একাডেমিক কাউন্সিলে যোগাযোগ না করে এইভাবে প্রশাসন ভবনের সামনে রাস্তায় নামা উচিত হয়নি। যে শিক্ষক এখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি আমাদের ইন্সটিটিউট এর শিক্ষক এর তালিকায় নেই। হয়ত তার ব্যাক্তিগত স্বার্থের জন্য এখানে এসেছেন।
মানববন্ধনে ৮ম ব্যাচের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মীর কাদির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়