রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানাকে আহবায়ক করে ১২৪ সদস্য বিশিষ্ট ফ্যাসিবাদ নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কমিটির শপথ বাক্য পাঠ করান ফকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক।
কমিটি সদস্য সচীব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে অ্যারাবিক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জসীম রানা।
কমিটির উদ্দেশ্য বিষয়ে তারা উল্লেখ করেন, আমি বিদ্রোহী বীর, চির উন্নত মম শির। মোটো হলো শিক্ষায় বিপ্লব, বিপ্লবে মুক্তি এই স্লোগানে চব্বিশের জুলাই বিপ্লবকে চিরঞ্জীব রাখতে, এই বিপ্লবের গণহত্যাকারী ঘাতক এবং এই বিপ্লবের বিজয় থামাতে গণহত্যা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যারা প্রকাশ্যে, মিডিয়ায় এবং নানান মাধ্যমে বিপ্লবী ব্যাতিক্রম সক্রিয় প্রতিক্রিয়া চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত শাস্তি প্রদানের ব্যাপারে চাপ প্রয়োগকারী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাবে ।
আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন , সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদ, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বিপ্লব জাগিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখতে চাওয়া বিপ্লবীদের অনুদান। এছাড়াও সংগঠনটির প্রকাশনা সামগ্রী থেকে লভ্যাংশের অর্থ-ই সংগঠনটির আয়ের উৎস।
এ বিষয়ে ফকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, আমরা বাংলাদেশে সব ধরনের ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেখতে চাই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মানবিক মর্যাদা অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের যে সমান অধিকার তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সে জায়গা থেকে ইতিপূর্বে বাংলাদেশে যেসকল শাসকগোষ্ঠী ছিলো তারা এদেশে একই কায়দায় এবং সংবিধান কে ব্যবহার করে কমবেশি সকল দলই ফ্যাসিবাদকে কায়েম করেছে। যার কারণে চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০২৪ এ এসে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এদেশের ছাত্রসমাজ যে অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে না পারে সেই লক্ষে কোনো দল,ব্যক্তি বা মতাদর্শ কে লক্ষ্য করে নয়, সকল রকমের স্বৈরতান্ত্রিক এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলার প্রত্যয় নিয়ে আজকে এই ফ্যাসিবাদ নির্মুল কমিটি গঠিত হতে যাচ্ছে।
এসময় কমিটির ৮৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরএ//