রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর) বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা, শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা, সেশন জট সৃষ্টি, দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও শিষ্টাচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দায়িত্বরত পরিচালককে পদত্যাগে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৬সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স এর সকল শিক্ষার্থীদের সম্মতিক্রমে লিখিত আকারে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে ।
তারা বলেন, একমাসেরও বেশি সময় যাবত তাকে নানাভাবে পদত্যাগের কথা বলা হলেও তিনি গড়িমসি করেছেন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কারণকে অজুহাত হিসেবে সামনে এনেছেন। তবে নতুন উপাচার্য নিয়োগ হওয়ায় সেই কারণগুলোও আর যৌক্তিক নেই। এরপরেও যদি আল্টিমেটাম না মানা হয় তাহলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইনস্টিটিউটের শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিযুক্ত পরিচালককে আমরা পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি ।
এ বিষয়ে বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আল্টিমেটাম এর বিষয়ে আমি অবগত নয়। এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কিন্তু যারা এসব করতেছে এটা ঠিক হচ্ছে না কারণ সরকার থেকেই এসব করতে নিষেধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন নিয়োগ হয়েছে, তারা যদি আমাকে পদত্যাগ করতে বলে বা সরিয়ে দেয় তাহলে আমি অবশ্যই পদত্যাগ করবো৷ আমার বিশ্বাস এখানে একটা চক্র বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই কাজগুলো করে যাচ্ছে । আর এই চক্রটি একেবারেই সাম্প্রদায়িক।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ইন্সটিটিউটের যেকোনো কাজ করতে হলে ইন্সটিটিউট কমিটি (আইসি) এর সিদ্ধান্ত নিয়ে করতে হয়। এককভাবে কোনো ডিরেক্টর কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। আর আমি দায়িত্ব পাওয়া পর দেখি দুই বছর ধরে শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ হয়নি। আমি গিয়ে তা প্রকাশ করিয়েছি। তাদের রুটিন তৈরি ও অধ্যাদেশের কথা বলা হয়েছে কিন্তু শিক্ষকরা করেনি। নতুন কারিকুলাম তৈরির কথা কয়েকবার বলা হলেও তারা করেনি। শিক্ষার্থীদের জীবন তারা নিজ হাতে ধ্বংস করে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দিয়ে তারা পরীক্ষার খাতা দেখিয়েছে এবং তাদের বিলও দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কে তারা নাম্বার বেশি দিয়েছে যা নৈতিকতার পরিপন্থী।
আরএ//