বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট তিনদিনের মধ্যে মূল হোতাকে গ্রেফতারে করার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষক সমিতি। তা না হলে আবার তারা মাঠে নামবে। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় সিনেট ভবনের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজার ওপর দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলা ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান।
তিনি আরোও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখে মনে হয় না এটি দেশের কোন প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়। হামলা ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, ন্যক্কারজনক এ হামলার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি অধ্যাপক আলী রেজার গলা টিপে ধরেনি বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের গলা টিপে ধরেছে। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি৷
এ সময় মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, অধ্যাপক আলী রেজা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সমিতির সাথে যুক্ত আছেন। তার ওপর এ ধরনের অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং হামলাকারীদের যতদ্রুত সম্ভব শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার বিচার না হলে দেশে বিচারহীনতা দেখা দিবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তাই খুব দ্রুত আক্রমণকারীদের ধরে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমি কোনো দলকে সন্দেহ করছি না। যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের পরিচয় একটাই, সেটা হলো তারা আক্রমণকারী।
হামলাকারীদের কঠিন শাস্তির দাবি করে আইন বিভাগের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য আ. ন. ম. ওয়াহিদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি ক্যাম্পাস যেখানে প্রথম শিক্ষার জন্য শিক্ষক প্রাণ দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে অধ্যাপক আলী রেজার ওপর এই আক্রমণ আমাদের সামাজিক নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের একটি বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, আমি এই সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম দিয়েছি, ‘মোটরসাইকেল বাহিনী’। রাজশাহীর সব জায়গায় তাদের দৌরাত্ম্য দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষকরা অসহায় হয়ে পড়েছি। এই সকল ঘটনা আমাদের শিক্ষকদের ইমেজকে দারুণভাবে ক্ষতি করছে। এই দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে তবেই তাদের প্রতিহত করা সম্ভব।
হামলাকারীদের কঠিন শাস্তির দাবি করে আইন বিভাগের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য আ. ন. ম. ওয়াহিদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি ক্যাম্পাস যেখানে প্রথম শিক্ষার জন্য শিক্ষক প্রাণ দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে অধ্যাপক আলী রেজার ওপর এই আক্রমণ আমাদের সামাজিক নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের একটি বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, আমি এই সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম দিয়েছি, ‘মোটরসাইকেল বাহিনী’। রাজশাহীর সব জায়গায় তাদের দৌরাত্ম্য দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষকরা অসহায় হয়ে পড়েছি। এই সকল ঘটনা আমাদের শিক্ষকদের ইমেজকে দারুণভাবে ক্ষতি করছে। এই দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে তবেই তাদের প্রতিহত করা সম্ভব।
দীন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়