চলতি জুলাইয়ের শুরু থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে অব্যাহত থাকা ছাত্র আন্দোলন গত ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে সহিংস হয়ে ওঠে। টানা বেশ কয়েকদিন ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতার পর দেশে কারফিউ জারি করা হলে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। পরে গত ২১ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের রায় বাতিল করে কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় দেন। তারপর গত ২৩ জুলাই এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% এবং বাকি ৭% কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের কথা বলা হয়। কোটার মধ্যে ৫% মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তান, ১% ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং বাকি ১% প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরা নিয়োগ পাবেন।
সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির প্রতিক্রিয়ায় ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, এত রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা কোটা সংস্কার চাইনি। আমরা সব হতাহতের বিচার চাই। আমাদের চূড়ান্ত দাবি ক্যাম্পাসগুলো খুলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা জাতির সামনে পেশ করতে চাই।
এ দিকে, বু রেরধবার কোটা আন্দোলনকে ঘিরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসে দুর্বৃত্তদের সহিংস কর্মকাণ্ডের দৃশ্য ৪৯ দূতাবাসের প্রতিনিধিদের ঘুরিয়ে দেখান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় বিদেশি দূতদের মধ্যে যে গুজব ছড়িয়েছিল তা দূর করতেই তাঁরা পরিদর্শন করেন মেট্রোরেল স্টেশন, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা। এ সময় বিএনপি-জামায়াত ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে এ নাশকতা চালিয়েছে বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।