রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য স্থাপিত তিনটি ডিজেল জেনারেটর ইউনিটের মধ্যে একটি ‘কোল্ড রান’ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষাটি দুই ধাপে পরিচালিত হয়। প্রথম ধাপে, উচ্চচাপের বায়ুর মাধ্যমে ডিজেল জেনারেটর ইউনিটের সকল অংশের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়। পরে, জ্বালানি ব্যবহার করে জেনারেটরটি চালু করা হয়। এই পরীক্ষা স্টার্টআপের আগে কমিশনিং প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্পন্ন হয়।
প্রকল্প পরিচালক ড. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডিজেল জেনারেটর ইউনিট পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি স্ট্যান্ডবাই বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ করে এবং রিয়্যাক্টর বন্ধ রাখতে হলে এই জেনারেটর থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ইউনিটটির উচ্চতা ৫.৫ মিটার, দৈর্ঘ্য ১৩ মিটার এবং ওজন ১৮৫ টন। এর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬.৩ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশ প্রকল্পের রাশিয়ান পিডি এবং এতমস্ত্রয় এক্সপোর্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরী জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর আগে এর সকল সিস্টেমের মান নিশ্চিত করা এবং অপারেশন সক্ষমতা যাচাই করা হয়, যা কমিশনিং ধাপে বাধ্যতামূলক। সাধারণত রুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর জীবনকাল ১০০ বছরের বেশি হয়ে থাকে, এবং এই সময়ের মধ্যে প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
রাশিয়ার কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট নিয়ে গঠিত হবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। প্রকল্পটি রসাটম প্রকৌশল শাখার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।