জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের জেরে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সভাপতি পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে নিন্দা জানানো হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পক্ষ আগের প্রতিবাদলিপির সঙ্গে সকল সদস্য একমত নয় বলে বিবৃতি দেয়া হয়।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. জাকির হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মহসীন রেজা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ই এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের নামে প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন খবরের নিন্দা জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি। আইনুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে সরকারের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
এর পরক্ষণেই শিক্ষক সমিতির প্যাডে সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান স্বাক্ষরিত পাল্টা বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতির নামে পূর্বে প্রচারিত প্রতিবাদ লিপির সাথে সমিতির সকল সদস্য একমত নন বলে দাবি করা হয়।
এদিকে শিক্ষক সমিতির নামে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি প্রকাশের পর শিক্ষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান, শিক্ষক সমিতির উচিত; অভ্যন্তরীণ কোন্দল বাদ দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করে যাওয়া।
পাল্টাপাল্টি বিবৃতি প্রকাশের ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, গতকাল রাতে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী মিটিংয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রতিবাদলপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকালেই সিদ্ধান্ত বদলেছে সাধারণ সম্পাদক। সে প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়নি।