রুশাইদ আহমেদ: ফাল্গুনের বিদায় সন্নিকটে। আবহাওয়া ক্রমশ উষ্ণতর হয়ে উঠছে। তবু এখনও নানা বর্ণিল ফুলের মিছিল চোখে পড়ছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে (বেরোবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটক দিয়ে প্রবেশ করে দেবদারু সড়ক ধরে প্রশাসনিক ভবনের উদ্দেশে এগোনোর পথে যে কারোরই চোখে পড়বে এই দৃশ্য। কৃষ্ণচূড়া সড়কও একই সাজে সজ্জিত। যেন গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ই পরিণত হয়েছে এক বর্ণিল ফুলবাগিচায়।
সমগ্র রংপুরের মধ্যে গত প্রায় ৩০ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো ফুটেছে মাধবীলতা এই ক্যাম্পাসে। আছে মহাবিপন্ন উদাল ফুলও। এর পাশাপাশি গাঁদা, জাম্বু গাঁদা, ক্যালেন্ডুলা, পিটুনিয়া, ভাররবিনা, দেশি সিলভিয়া, হাইব্রিড গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, ড্যামথাস, ডালিয়া, গোলাপ, মোরগ ঝুঁটি, সূর্যমুখীসহ নানা প্রজাতির ফুলের নানা বর্ণে ও গন্ধে মুখরিত এই ৭৫ একরের প্রাঙ্গণে তাই বিকেল হলে ঢল নামে দর্শনার্থীদের।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুরানি মদিনা লিসা বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্ফুটিত বর্ণিল ফুলের সমারোহ ক্যাম্পাসের রূপকে করে তুলেছে মনোমুগ্ধকর ও অনন্য। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকে দেয় আনন্দ ও প্রশান্তি। যা আকর্ষণ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ বাইরের দর্শনার্থীদের। ক্যাম্পাসের ফুলের এই সৌরভ ও রঙের মেলবন্ধনকে আসলে আমার কাছে এক স্বপ্নিল আবহ বলে মনে হয়।
বেরোবি বহিরাঙ্গনের পরিচালক ড. মো. ফেরদৌস রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও নান্দনিক করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা স্থানে ফুলের চারা রোপণ করেন। ইতিমধ্যে স্বল্প খরচের মধ্যেই ২০ প্রজাতির সুন্দর বেশকিছু ফুল লাগানোর হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা আরও হরেক প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করব বলে আশা রাখছি।