সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, বাধাপ্রদানের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার রাত আটটায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে একটি মশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘৭১ এর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘১৮ এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লোগেছে’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’
প্রভৃতি স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একদফা দাবি হলো—সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করা হোক এবং বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার করা হোক।
মশাল মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, হামলা- মামলা করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। মনে রাখবেন, শিক্ষার্থীদের খেপিয়ে তুললে দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠবে। তাই দ্রুত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করে সংসদে আইন পাস করুন।
সমাবেশে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল ও তৌহিদ সিয়াম প্রমুখ।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়