সাদা কাশফুলের শরৎ পেরিয়ে নামছে হেমন্ত, আসছে কার্তিক মাস। এর মধ্যেই কুয়াশার আলপনা আঁকতে আঁকতে আগমন ঘটছে শীতের । শীতের প্রকৃতি যেন তার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট এই জগৎ-সংসার থেকে আড়াল করে রাখতে চায় কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে।
এবছর রাজধানীর প্রকৃতি যেন শীতের আগমনী বার্তা আগেই দিয়ে রেখেছে। এর ফলে নগরবাসী হালকা শীতের অনুভূতি পাচ্ছেন। ভোরবেলা রাজধানী কুয়াশায় ঢাকা থাকে, আর মাঝরাতে মনে হয় সত্যিই শীতের আবহ হাজির হয়েছে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি তাপমাত্রাকে বেশ সহনীয় করে তুলেছে, ফলে দিনে গরম আর শেষ রাতে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে।
তবে আমাদের দেশে শ্রেণীভেদে দুইভাবে শীতকে বরণ করে নেয় মানুষ। এক শ্রেণীর মানুষের কাছে শীত তাদের প্রিয় ঋতু, যার জন্য তারা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকে। তাদের জন্য শীত মানেই পিঠা-পুলি, খেজুর রস, নতুন শীতের কাপড় এবং বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠান।

কিন্তু আরেক শ্রেণীর কাছে শীত যেন অভিশাপ হয়ে নেমে আসে। শীতের আগমনী বার্তায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। গত কয়েকবছর ধরেই শীতের একটা সময়ে তাপমাত্রা অনেকটা নেমে আসে। তাতে করে শীতের কাপড় পরে, ঘরে থেকেও শীত নিবারন দু:ষ্কর হয়ে পড়ে। গৃহহীণ মানুষগুলোর অসহায়ত্ব তখন চরমে ওঠে।
যদিও দেশের সেসব সুবিধাবন্চিত মানুষগুলোর সহায়তায় সরকারি এবং বেসরকারিভাবে শীতের কাপড়, কম্বল ইত্যাদি বিতরণে নেয়া হয় বিভিন্ন পদক্ষেপ। তবে সরকারি সহায়তা হাত বদল হতে হতে সেসব অসহায় মানুষের কাছে যতটুকু পৌছাঁয় তা পর্যাপ্ত নয়।
তবে এবারের চিত্র ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে দেশবাসী অনেকটাই আশাবাদী। আর সরকারেরও উচিৎ শীতার্তদের সহায়তায় এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া। এবং সাধারন নাগরিকদেরও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে শীতার্তদের পাশে থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করা।
এখন সময় অক্টোবরের মাঝামাঝি। সন্ধ্যার পর থেকেই আবহাওয়া ঠান্ডা হতে থাকে এবং শেষ রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।