ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে গত আগস্টে। ১৬ বছরের শাসনামলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি সংবিধান সংশোধনের সুযোগকে অপব্যবহার করে টিকে ছিল মসনদে। তাই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলছে।
এরই মধ্যে গত ৩১ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের উপস্থিতিতে ‘সংবিধান সংশোধন নাকি পুনর্লিখন, কোন পথে হবে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
সভায় সংস্থাটির উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ সংবিধানকে ব্যক্তিস্বার্থে পরিবর্তিত করা হয়েছে দাবি করে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে সংবিধান পুনর্লিখনের আহ্বান জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর প্রণীত সংবিধানের মৌলিক দিকনির্দেশনার ভিত্তিতে সাংবিধানিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপস্থিত উপদেষ্টা ও কর্তাব্যক্তিরা।
এমতাবস্থায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কি সংবিধান সংশোধনে কাজ করবে নাকি প্রণয়ন করবে নতুন সংবিধান— তা সময়ই বলে দেবে।
আরএস