ঢাকাই সিনেমার প্রজন্মের নায়ক আরিফিন শুভ ২০২৩ সালে শেখ মুজিবের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় করে বেশ আলোচনায় আসেন, কারণ তিনি এই চলচ্চিত্রটির জন্য মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। তবে বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট। গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাজউকের বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন শুভ। রাজউকের সংরক্ষিত কোটা ১৩/এ-ধারার অধীনে, যাদের এলাকায় নিজস্ব প্লট বা ফ্ল্যাট নেই, যেমন সংসদ সদস্য, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখা ব্যক্তিরা, তাদের জন্য এই কোটায় প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়।
২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বরের বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্তের পর, উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে শুভকে ১০ কাঠার প্লট চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ দেয় রাজউক। রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা গণমাধ্যমকে জানান, এ বরাদ্দ সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা হয়েছে।
শুভর প্লটের আইডি নম্বর-০১-৪০৩-০০৮ এবং কোড নম্বর-১৯০৮৯৯। রাজউকের বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী, এই ১০ কাঠার প্লট সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ হয়েছে।
বছরের শুরুতে রাজউক সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৮তম বোর্ড সভায় এই প্লট বরাদ্দ করা হয়। পরবর্তীতে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে বরাদ্দের সিদ্ধান্ত জানান।
রাজউক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৩১ ডিসেম্বর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভকে প্লট বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বর্তমান ঠিকানায় চিঠি পাঠান।
এ বিষয়ে শুভ তখন মন্তব্য করতে চাননি, শুধুমাত্র বলেছেন, “আমি কোনও বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম, তবে সেটা রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত কিছু নয়। যদি প্লট বরাদ্দ পেয়ে থাকি, তাহলে আমি নিজেই সবাইকে জানাব। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।”
আরিফিন শুভর ১০ কাঠার প্লটের প্রতি কাঠার বাজার মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ, পুরো প্লটটির মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। কিন্তু শুভ সংরক্ষিত কোটায় এটি মাত্র ৩ লাখ টাকা দামে প্রতি কাঠায় সর্বমোট ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করে পেয়েছেন।