কোটা আন্দোলনের আড়ালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ভবন ও এর বিভিন্ন স্থাপনায় দুর্বৃত্তদের হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আগুন দেয়ার আগে হামলাকারীরা ভবনটির ভিডিও এবং পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
নাসিক মেয়র বলেন, তবে সিটি করপোরেশনের সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়াসার বিলসহ অন্যান্য বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। ইন্টারনেট স্বাভাবিক হলেই এসব সার্ভিস স্বাভাবিক হবে।
মেয়র আইভী বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন ভবনে আগুন লাগানোর আগের দিন ভবনের ভিডিও করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সিকিউরিটি গার্ড তখন এ ভিডিও করাকে সন্দেহ করেনি। এখন বোঝা যাচ্ছে ভিডিও করাটি ছিল হামলার আগে পরিকল্পনার অংশ। নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট অফিস, সিটি কর্পোরেশনসহ বেশকিছু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে নাশকতা চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
জানা যায়, গত ১৮ ও ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভবন ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সম্পদে হামলা চালায় দুবৃত্তরা। ১৮ জুলাই বিকেল ৪টায় নগরীর ২নং রেলগেটের মিনি পার্কে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করে ও গাছপালা উপড়ে ফেলা হয়। নগর মিলনায়তনের পাশে সিটি করপোরেশনের বাণিজ্যিক ভবন দোয়েল সিটি প্লাজা-১ ভাংচুর করা হয়।
বাসস জানিয়েছে, এ দুইদিন নগরীর চাষাড়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত নবাব সলিমুল্লাহ রোডের ডিভাইডারের বিভিন্ন অংশের গাছ ও ফুলের টব উপরে ফেলে হামলাকারীরা। ভেঙে ফেলেছে সড়ক বিভাজকের বিভিন্ন স্থানের দেয়াল। ১৯ জুলাই শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় নগর ভবনে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় হামলাকারীরা। এসময় সিটি কর্পোরেশনের চারটি গাড়ি, ১০টি মোটরসাইকেল, কম্পিউটার ও আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিনামূল্যে দেয়ার জন্য রাখা বিপুল পরিমাণ ওষুধপত্র, সিটি করপোরেশনের বিক্রয় কেন্দ্র এবং প্রায় দেড়শ বছর পুরনো হেরিটেজ ভবন ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। নগর ভবন চত্বরে অবস্থিত ওয়ান ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া, আলী আহম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে দুই দফায় ব্যপক ভাংচুর ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।