রাবি প্রতিনিধি:
অনুষ্ঠানে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, উচ্চ শিক্ষা ও সকল সরকারি চাকুরিতে ৫% কোটা বহালসহ ১২ দফা দাবি জানান তারা।
অনুষ্ঠানে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নুকুল চন্দ্র পাহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তরুণ মুন্ডার সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইবিএস এর অধ্যাপক ড. শওরোচিশ সরকার, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়াসহ আদিবাসী ছাত্র পরিষদের দেশের বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ। আদিবাসী ছাত্র পরিষদের ৫ম এই সম্মেলনে শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, আমি মনে করি আমাদের রক্ষা কবজ সংবিধানে বলা আছে সকল মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলে আমাদের দেশের আদিবাসীসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার।আদিবাসীরা জাতিসত্তার অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। তারা যে আমাদের অংশ সেখানে তারা পরিচয় সংকটে ভুগছে। আদিবাসীদের ঐতিহ্য, ভাষা, সংস্কৃতি রক্ষার জন্য তাদের আগে স্বীকৃতি দিতে হবে। তারা তাদের সম–অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছ। দেশের বিভিন্ন কাজের খাতে আদিবাসীদের মজুরী হিসেবে ব্যবহার করা হয় কিন্তু বেতনের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য করা হয়। এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের উচিত সম-অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমি মনে করি আদিবাসী ছাত্র যারা অনেক লড়াই সংগ্রাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন তাদেরই আদিবাসী রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে।
বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি সুজন রাজওয়ার বলেন, আমরা প্রত্যেকটা পদে পদে, নির্বাচনী ইস্তেহারে আমাদের স্বীকৃতির কথা বলা হলেও এই সরকার তিন টার্ম থাকার পরেও আদিবাসীরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় নি। চাকুরির ক্ষেত্রেও আমাদের যে ৫% কোটা ছিল সেটা নিয়েও টালবাহানা চলছে। গাইবান্ধায় দিনে-দুপুরে তিনজন সাওতালকে হত্যা করা হয় যার বিচার তো পাই–ই নি উল্টো সেখানকার আদিবাসীদের বাপ-দাদার জমির ওপর ইপিজেড করার পাঁয়তারা চলছে। আমি সরকারের কাছে আমাদের ১২ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান করছি।
আলোচনা পর্ব শেষ করে আগামী দুই বছরের জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সদ্য বিদায়ী সভাপতি নুকুল চন্দ্র পাহান।
নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হোন অনিল গাজার এবং শিতকুমার ওরাও।