আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. নজরুল বলেন, “সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল বা সংশোধনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আইনটি নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৩২টি স্পিচ অফেন্স মামলার মধ্যে ১১৩টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি মামলাগুলোও প্রত্যাহার হবে।”
তিনি আরও জানান, বিগত সরকারের আমলে করা ২৫০০-এর বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটরদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ইতোমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ কাউন্সিল স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ায় বিচারক নিয়োগ নিশ্চিত করবে।
স্থায়ী প্রসিকিউশন সার্ভিস ও অনলাইনভিত্তিক সেবা চালু
ড. নজরুল জানান, স্থায়ী প্রসিকিউশন সার্ভিস প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী এক মাসের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি সেবা অনলাইনে রূপান্তরিত হওয়ায় জনগণের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, উচ্চ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বিতীয় শাখা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরইউএস