সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করেছেন।
আজ রাত (৯ মার্চ রবিবার ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে শ্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের সামনে সড়ক ও ক ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রদক্ষিণ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ, দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ এবং নিরাপদ সমাজ গঠনের দাবি জানান।
মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মশাল মিছিলে যোগদান কর তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এখানে নারী ও পুরুষ উভয় শিক্ষার্থীরাই উপস্থিত হয়েছে। ধর্ষণ একটি অপরাধ যা পুরুষদের দ্বারা সংঘটিত হয়, তাই পুরুষদের একটি বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। আমরা এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাই যেখানে নারীরা যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের শিকার হবে না। ২০০৯ সালের হাইকোর্ট নির্দেশনা এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন মেনে চলতে হবে। আমি মনে করি ২০০৯ সালের হাইকোর্ট নির্দেশনা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
এসময় মশাল মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী উপমা দত্ত বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইনগতভাবে থাকলেও, বাস্তবে এর কার্যকর প্রয়োগ খুবই কম। নারীদের জন্য অতিরিক্ত আইন থাকার ধারণাটি মিথ্যা, কারণ নারীরা এখনও ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন এবং ধর্ষকদের যথাযথ শাস্তি হচ্ছে না। ২০২০ সালের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় পাঁচ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন ও যৌনাঙ্গ কেটে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের আসামি জামিন পেয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে এবং প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।