সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে দুদিন ধরে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইনস্টিটিউট চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার দুপুরে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে সাত শিক্ষার্থীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিসে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা রবিবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের ইনচার্জসহ অন্য শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে অভিযুক্ত সিনিয়র ১৬ জন শিক্ষার্থীকে সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে হল থেকে বের করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিকাল পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করায় ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের নতুন-পুরোনো এবং দ্বিতীয় বর্ষের সব শিক্ষার্থী ইনস্টিটিউট চত্বরে অবস্থান করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এই ইনস্টিটিউটের সিনিয়র তিন বর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থী জুনিয়রদের ওপর নানা সময় প্রভাব বিস্তারসহ নির্যাতন করে আসছেন। এ ছাড়া ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা চলাকালে কড়াকড়ি গার্ড দেওয়ায় সিনিয়র শিক্ষার্থীরা শিক্ষক মাহবুব হাসান ও নাজমুন নাহারের জোরপূর্বক পদত্যাগ দাবি করেন। তখন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করায় সিনিয়ররা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। এ জন্য জুনিয়র শিক্ষার্থীরা গত ২১ আগস্ট ১৩ দফা দাবি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ইনচার্জকে স্মারকলিপি দেন। এই দাবি পূরণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়রে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে রবিবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা শুরু হলে পরে দুপুরে মারামারিতে রূপ নেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ জয়নব বেগম বলেন, ‘যে দাবি নিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে আমরা রবিবার আলোচনায় বসেছিলাম। যেহেতু সমাধান হয়নি, সেহেতু বিষয়টি এখন ডিজি অফিস দেখবে। মঙ্গলবার ডিজি অফিস থেকে একটি প্রতিনিধিদল এসে এর সমাধান করবে।’
আরএ//