কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের প্রতিটি সেমিস্টারের আগে সেই মান্ধাতা আমলের রীতি অনুযায়ী ব্যাংকে টাকা জমা প্রদান, আবেদন ফরম পূরণ করা এমনকি সেই আবেদন ফর্ম ও ব্যাংক রশিদ হল প্রভোস্টের মাধ্যমে স্বাক্ষর করিয়ে নিজ নিজ বিভাগে জমা দিতে হয়। তাছাড়া সনদ উত্তোলনকালেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির যুগে ওই মান্ধাতার আমলের রীতি বদলে দিয়ে যুগোপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করেছে। গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শেষে যুগোপযোগী ওয়েবসাইট তৈরির দাবি জানিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শামসের তাবরিজ চৌধুরী বলেন, “আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রায় দুই দশক হতে চলছে, অথচ এখন পর্যন্ত সেই এনালগ পদ্ধতিতেই সেমিস্টারের আবেদন কার্যক্রম ও সনদ উত্তোলনে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেমিস্টার ফাইনালের আবেদন ও অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধের পদ্ধতি চালু করা এখন সময়ের দাবি।”
তিনি যোগ করে আরও বলেন, “প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা প্রোফাইল তৈরি করে সমস্ত তথ্য ও পজিশন, একাডেমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক যাবতীয় বিষয়াদি সংবলিত একটি সাইট তৈরি করা উচিত। ফলে এই যুগোপযোগী ওয়েবসাইট তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে আজকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করি। এই কর্মসূচিতেও সাধারণ কুবিয়ানদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যায়। পরবর্তীতে আমরা গণসাক্ষর গুলো সংযুক্তি দিয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।”
গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও আবেদন জমা দেওয়ার প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, “আমরা একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। আবেদনটি আইটি সেলের কাছে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখবে।”
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের যে কোনো ফি জমা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সরাসরি ব্যাংকে উপস্থিত হতে হয়। ভোগান্তি নিরসন ও সময় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইনে টাকা প্রদান করতে পারে সেইজন্য ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে সোনালী ব্যাংকের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও অনলাইনের টাকা প্রদানের কোনো কার্যক্রম এখনো দেখা যায়নি। কবে নাগাত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে টাকা প্রদান করতে পারবে এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার বলেন, “এটি এখনো প্রক্রিয়াধীন। একটা বিষয় প্রক্রিয়াধীন থাকলে একটু সময় লাগবেই। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে বলা যাবে কতদিন লাগতে পারে।”
রকি//বিএন