ইরানের রাজধানী তেহরানে স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
শনিবার (০৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে আইআরজিসি এ দাবি করে বলে জানিয়েছে, ফ্রান্সভিত্তিক বার্তাসংস্থা এএফপি।
বিবৃতিতে আইআরজিসি বলে, “রাজধানী তেহরানে যে ভবনে হানিয়া অবস্থান করছিলেন, সেটির বাইরে থেকে সাত কেজি বিস্ফোরকবাহী স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। হামলার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়।”
এ দিকে, হানিয়াকে হত্যায় ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল বলে দাবি করেছে ‘পাসদারান’ বা অভিভাবক বলে খ্যাত এই রক্ষীবাহিনী।
গত মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন প্রধান হানিয়া। তাঁর গুপ্তহত্যার পর ইতিমধ্যেই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান ও তাঁর সংগঠন।
তবে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েল। তা ছাড়া হানিয়ার মৃত্যুর দিনই লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। পরে গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহর হামলায় ১২ নাগরিক নিহতের জবাব দিতে ওই হামলা চালানো হয় বলে দাবি করে ইহুদিরাষ্ট্রটি।
বিডিএন৭১/রুশু