গেল জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের উন্মেষ ঘটেছে। শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করতে ৮ শতাধিক মানুষের আত্মত্যাগ ইতিহাসের একটি বিরল অধ্যায়।
তবে, দেশের ইতিহাসে স্বৈরাচারী শাসকদের মধ্যে শুধুমাত্র শেখ হাসিনা নয়, অনেকেই সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকেও স্বৈরাচার হিসেবে গণ্য করেছেন।
এই প্রসঙ্গে, দেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা সোহেল রানা গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, এরশাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ সময়ের ওঠাবসা ছিল। তিনি জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এরশাদকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে দেখেছেন। তবে, স্বৈরশাসকের সাথে তার তুলনা করা হতো।
সোহেল রানা বলেন, “যাদের রক্তে অন্যায় করার প্রবণতা রয়েছে, তাদের জন্য কিছু অন্যায় ছিল যা এরশাদ সাহেব করেননি। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, আমি দশ বছর তার সঙ্গে ছিলাম। আমি বলতে পারি, তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন ভালো মানুষ।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে তাকে নয় বছরের স্বৈরশাসক হিসেবে বিবেচনা করেন। আমি মনে করি, যদি তাকে সত্যিকার অর্থে স্বৈরশাসক বলা হয়, তাহলে বর্তমান সরকারের উচিত তাকে শিক্ষা দেওয়া, যাতে তারা বুঝতে পারে স্বৈরতন্ত্র কী, স্বৈরশাসন কাকে বলা হয় এবং এর প্রকৃত রূপ কেমন।”
সোহেল রানার আসল নাম মাসুদ পারভেজ। চলচ্চিত্র জগতে তিনি সোহেল রানা নামে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন।
১৯৭৩ সালে, সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানার একটি গল্প অবলম্বনে ‘মাসুদ রানা’ ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একই ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়।