বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? এই কথার মতই বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটা কথা আছে, হাথুরুকে সরাবে কে! হাথুরুকে সরাতে চায় অনেকে, কিন্তু হাথুরু থেকে যায় । কারণ হাথুরুর সাথে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বিসিবি সভাপতির।
বিশ্বকাপের আগে থেকেই হাথুরুসিংহের সঙ্গে কোচিং স্টাফের বিরোধ সামনে এসেছে। রাসেল ডমিঙ্গোকে বিদায় করে শ্রীলঙ্কান এ কোচকে নিয়োগ দেওয়া মেনে নিতে পারেননি অ্যালান ডোনাল্ডরা। বিশ্বকাপের আগে থেকে প্রধান কোচের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে নেমে পড়েন তারা। বিষয়টি জেনেও চুপ ছিলেন বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কর্মকর্তারা। কারণ হাথুরুসিংহে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কর্তারও অপছন্দের পাত্র! তাই বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ও নাসুমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ইস্যুতে ইন্ধন জোগাচ্ছেন তিনি। কোচকে শায়েস্তা করতে দলের অন্দরমহলের খবর ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের একজন কর্তা সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ।
কারণ হাথুরুসিংহে কোনো পক্ষকে পাত্তা না দিয়ে সরাসরি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ক্রিকেটারদের ব্যাপারে যে কোনো সিদ্ধান্ত বোর্ড সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়ে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে উপেক্ষা করেন। এ ছাড়া হাথুরুসিংহেকে তাড়াতে পারলে কোচিং স্টাফ নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে খোদ ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরমহলে। কোচিং স্টাফের মধ্যে বিভেদ জিইয়ে রাখার পেছনেও এই হীন উদ্দেশ্য কাজ করে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতীয় দল-সংশ্লিষ্ট একজন জানান, বিশ্বকাপের শেষদিকে ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমটও প্রধান কোচের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের খারাপ খেলার পেছনে এটা বড় কারণ বলে মনে করেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কেউ কেউ। অথচ তারা মূল্যায়ন কমিটির সামনে এ নিয়ে কথা বলতে চান না।
বিসিবি পরিচালকদের বেশির ভাগ হাথুরুসিংহকে বিদায় করতে একাট্টা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বোর্ড সভাপতি পাপন। তিনি ভেটো দিলে প্রধান কোচকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব হবে না।