দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়েছিলো আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সম্মুখে আইএবি এক্রিডেশন বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা।
অবস্থানে অংশ নেওয়া আর্কিটেকচার ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিয়ান বলেন, ২০১৪ সালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার বিভাগ চালু হয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ (আইএবি) এক্রিডেশন নাই।আইএবি এক্রিডেশন না থাকার ফলে আমাদের সাইন করার যোগ্যতা থাকবে না।আর সাইন করার যোগ্যতা না থাকলে আমরা ডিপ্লোমা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চেয়েও অধম হবো।আমরা বেতনও স্বাভাবিকের চেয়ে কম পাবো। বাংলাদেশে কোনো আর্কিটেক্ট প্রতিযোগিতায় আমরা অংশগ্রহণ করতে পারবো না।যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জিতে আসতেছে।আমি ১৭ ব্যাচ, এখন পর্যন্ত আমার প্রায় সাড়ে আট বছর সময় লেগেছে। ১২ বছর যাবৎ আমরা প্রশাসনকে আমাদের সমস্যার কথা বলেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।উপাচার্য এসেছে উপাচার্য গেছে কিন্তু সমস্যায় পরে আছি শুধুই আমরা।সবাই শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন।
ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন,আমাদের ক্লাসরুম সঙ্কট এখনো কাটেনি, রয়েছে শিক্ষক সঙ্কট,আমাদের বিভাগে কোনো প্রফেসর নেই।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এখনো কোনো নিয়োগ দিচ্ছে না।আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষক সঙ্কট দূর করবে।আইএবি এক্রিডেশনের জন্য যে শর্ত পূরণ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই সংক্রান্ত সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরবর্তীতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সাথে প্রায় দুই ঘন্টা আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম শিকদার বলেন, আমরা তাদের সাথে আলোচনা করেছি।ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ঢাকায় অবস্থান করছেন।তিনি ১৮ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন।তখন আমরা তাদের সাথে বসে সমাধান করবো।আগামীকাল আমি নিজেই শিক্ষকদের সাথে গিয়ে একাডেমিক দুই ভবনটি পরিদর্শন করবো। তাদের প্রয়োজন সাপেক্ষে রুম বরাদ্দও দেওয়া হবে।তারা তো আমাদের শিক্ষার্থীদের আমরা চাই তারা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করুক।
উপ-উপাচার্য আরো বলেন, তাদের এক্রিডেশন তো অবশ্যই দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় সকল বিষয় নিয়েই কাজ করবে।আমরা দ্রুত সময়ের মাঝেই সমাধান করার চেষ্টা করবো।
এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন,আমরা ১৫ তারিখের মধ্যে ক্লাসরুম বন্টনের কথা বলেছি,প্রশাসন বলেছে ১৮ তারিখ।আমরা আমাদের কর্মসূচি থেকে সরে আসিনি।আমরা আগামীকাল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমাদের প্রতিবাদ জানাবো।
সেই লক্ষে আমরা কালকে পথ নাটক, প্রতিবাদী কবিতা আবৃত্তি করবো।