হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
উক্ত আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রিপন আহমেদ এবং সদস্য সচিব হিসেবে ফিশারিজ অনুষদের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির আহমেদ সাকিল মনোনীত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদে কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৫ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত আহ্বায়ক কমিটিতে মো. সজিব আহমেদ সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, মো. জাহিদ হাসান যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সৈকত উল ইসলাম সিনিয়র সদস্য সচিব এবং মো. মাসুদ ইসলাম যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। অন্যান্যরা বিভিন্ন পদে মনোনীত হয়েছেন।
নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. রিপন আহমেদ বলেন,”বিগতদিনে আমার উপজেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের দায়িত্ব পালন করেছি।বিশ্ববিদ্যালয়ের গত কমিটিরও সাথে ছিলাম ।এবারের দায়িত্বটা আরো গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র অধিকার পরিষদ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে।আমরা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে চাই।বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ফি কমানো,সেশন জট কমানো সহ সকল ধরনের ইতিবাচক কাজ।বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি আমরাও ক্রেডিট ফি কমানোর বিষয়ে কথা বলেছি।সামনের ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যাবস্থা করবো।ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যাবস্থা করবো আমরা।যে সকল শিক্ষার্থীরা টাকার অভাবে এনরোলমেন্ট করতে পারে না আমরা তাদের এনরোলমেন্ট করে তাদের নিয়মিত পড়াশোনা কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা সকল সংগঠনের সাথে পারস্পরিক সহাবস্থানের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে চাই।যা আপনারা আমাদের বিগত ইফতার অনুষ্ঠানে দেখেছেন। যেখানে আমরা রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও কর্মমুখী সংগঠনকে দাওয়াত করেছি।
আধিপত্যের বিষয় যুক্ত করে তিনি বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো সংগঠন তাদের একক আধিপত্য এবং তাদের নিজস্ব পদ্ধতি অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীকে পরগণিত না করে রাজনীতি করে তাহলে আমরা তাদের বিপক্ষে অবস্থান করবো।কারণ আমাদের সংগঠনের শ্লোগানই হলো “শিক্ষা, অধিকার, প্রগতি
ছাত্র অধিকার পরিষদের মূলনীতি।”