গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে ভারত পলায়ন করার পর দেশব্যাপী স্থবিরতা নেমে আসে।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক, রেজিস্ট্রার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা শিক্ষকবৃন্দ একের পর পদত্যাগ করছেন।তেমনিভাবে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গত ৯ আগস্ট (শুক্রবার) রাষ্ট্রপতি বরাবর উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।তারপর একই দিনে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, সহ সহকারী প্রক্টর এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালকবৃন্দ।
তারপর ক্রমান্বয়ে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআরটির এর পরিচালক এবং সহপরিচালক,শরীরচর্চা ও শিক্ষা বিভাগের পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, হল সুপার এবং সহকারী হল সুপারবৃন্দ,আইটি সেল এর কো-অর্ডিনেটর, আইকিউএসি এর পরিচালক এবং সহপরিচালক, ক্যাডস এর পরিচালক, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডিন,জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক, পরিবহন ও যন্ত্র মেরামত শাখার পরিচালক,হাবিপ্রবি স্কুলের পরিচালক, প্লানিং ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড ওয়ার্ক শাখার পরিচালক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক,কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের চীফ ইনচার্জ, লাইব্রেরি শাখার পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার পরিচালক, নিরপত্তা শাখার প্রধান পদত্যাগ করেছেন।প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ এবং কিছু প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুর রহমানও পদত্যাগ করেছেন।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান।
পিএস টু ভিসি এবং হিসাব শাখার পরিচালক পদত্যাগ করেননি । এ বিষয়ে হিসাব শাখার পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি একজন কর্মকর্তা বর্তমানে হিসাব শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার পদত্যাগ করে আপাতত অন্য কোনো দায়িত্ব পালন করার সুযোগ নেই।নতুন উপাচার্য এসে আমাকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করলে তখন আমি সেখানে গিয়ে দায়িত্ব পালন করবো।এর আগ পর্যন্ত আমার পদত্যাগ করার সুযোগ নেই।
এ যাবৎ হাবিপ্রবির প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা প্রায় ৫২ জন শিক্ষক তাদের প্রশাসনিক অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সংগ্রাম/এমএ//