দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) মতবিনিময় সভা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
হাবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি,চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিকের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু সাঈদ লিয়ন,তারিকুল ইসলাম, এস আই শাহিন,মো.জহির রায়হান, রকিব মাসুদ, আল মেহরাজ শাহরিয়ার মিথুন সহ প্রমুখ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থী এবং দিনাজপুরের আহত ব্যাক্তি ও পরিবার এবং নিহতদের স্বজনেরা।
উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সমন্বয়কেরা সূচনা বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন। উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং আহত নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে তারা প্রশ্ন নেন। যেখানে প্রশ্নকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং আলোকপাত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা বহু আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এই রাষ্ট্র সংস্কার করার দায়িত্বও আমাদের।তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।বর্তমানে সমন্বয়কদের বিতর্ক করে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের লোকজন এখনও ষড়যন্ত্র করে সবকিছু বাঞ্চাল করার চেষ্টা করছে।তারা দেশের প্রতিটি সেক্টরে অপতৎপরতা করার চেষ্টা করছে।তাই আমাদের নয়া রাজনীতির বন্দবস্ত করতে হবে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক সংগঠন না।এই সংগঠন শিক্ষার্থীদের জন্য এবং জনমানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতে চায়। দেশের প্রতিটি সেক্টরকে রাজনৈতিক শৃঙ্খল থেকে আমরা বের করে আনতে চায়।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের লাল,নীল বিভিন্ন ধরনের দল থাকবে না।
হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তারা বলেন, কেউ যদি সমন্বয়কের পরিচয় দিয়ে ব্যাক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় এবং কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায় তাহলে তাকে গণধোলাই দিবেন।এই হাবিপ্রবিতে কোনো সমন্বয় কমিটি নেই।তবে আপনারা যারা সম্মুখ সারি থেকে আন্দোলন করেছেন তারা সকলে মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। আপনারা শিক্ষার্থী বান্ধব কার্যক্রম করবেন।মনে রাখবেন আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে কিন্তু দেশ আবারও বিপথে যাবে। আপনারা কোনো স্থানীয় এবং রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না।এবং গ্রুপিংয়ের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করবেন।যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নেই তাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনই প্রধান শক্তি। তাই সকল গ্রুপিং ভেঙে একসাথে আপনারা চলাচল করবেন।আর এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদের।
তিনি আরো বলেন,কোনো বিদেশি শক্তি এবং কোনো রাজনৈতিক পক্ষ আমাদের ঐক্যের ভাঙন সৃষ্টি করতে পারবে না।আমরা সারা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে মতবিনিময় সভা করে একটা ঐক্যবদ্ধ পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
তার বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমেই বেলা ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।