হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকগণের জন্য তিন দিনব্যাপী ” শিক্ষণ পদ্ধতি বিষয়ক” প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় অডিটোরিয়াম—২ এ উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবির জরুরী আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির।
উক্ত অনুষ্ঠানে টেকনিক্যাল সেশনের রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) মোঃ মোজাহার আলি, আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মারুফ আহমেদ এবং বিভিন্ন শাখার পরিচালকসহ অন্যান্য শিক্ষক—কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন,আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. শরীফ মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ বলেন, আমাদের সকলের কৃতকর্ম গুলো সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিনিয়ত লিপিবদ্ধ হয়, এজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং শতভাগ সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাকে ডীন, চেয়ারম্যান বা শিক্ষার্থী কেউ দেখছেনা এজন্য যা ইচ্ছে তাই করবো এই ধারণা থেকে বের হতে হবে। কারণ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব কাজের রেকর্ড সৃষ্টিকর্তার কাছে লিপিবদ্ধ থাকে। এক সময় আমার সামনে সব কিছু উপস্থাপন করা হবে। তাই ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ নেই, নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেই পরেরদিন ক্লাসে চলে যাই, আমার মতে এটা সমীচীন নয়। নিয়োগের পর শিক্ষকদের অন্তত তিন মাস বা দীর্ঘ মেয়াদী একটা ট্রেনিং এর ব্যবস্থা থাকা উচিত। মেথড অব সাইন্টিফিক টিচিং এটা ইনফরমাল কিছু না এটা ফরমাল, এর উপর কিছু না জেনেই যদি আমি ক্লাসরুমে যাই তাহলে আমার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা পজেটিভ হবেনা। কিভাবে শেখালে শিক্ষার্থীরা বাস্তবমুখী শিক্ষা অর্জন করবে সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। তিন দিনব্যাপী এই ট্রেনিং থেকে আমরা এসব বিষয়ে অনেকটা ধারণা পাব।
রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদেরকে রাজনীতি, দল ও মতের উর্ধ্বে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। রাজনীতির পেছনে সময় না দিয়ে, শিক্ষা ও গবেষণার পেছনে আরও বেশি বেশি সময় দিতে হবে। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের সকলের, তাই আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে এটিকে বিশ্ব পরিমন্ডলে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, উক্ত প্রশিক্ষণে হাবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের ৬৮ জন প্রভাষক অংশগ্রহণ করেন।