হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত মানবের তকমা পেয়েছে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের ছাত্র “মাহমুদুল হাসান “।
“হাসান” সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা থেকে হাবিপ্রবি’তে পড়াশোনা করতে এসেছে।ছোট থেকেই খেলাধুলার প্রতি একটা আলাদা ঝোঁক ছিল এই হাসানের। ছোট থেকেই দুরন্তপনায় মেতে থাকতো।স্কুল, কলেজ জীবনে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে জিতেছে অনেক পুরস্কার। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে হাসান।বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড়ে টানা দুইবার জিতেছে স্বর্ণ পদক। এ বছরের অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাত্র (১০.৮ সেকেন্ডে) শেষ করেছে ১০০ মিটার দৌড়।শুধু ১০০ মিটার দৌড়েই সফল হয়েছে এমন নয়।প্রথম বারে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে “হাসান”
৪০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে এবং ৪০০ মিটার রিলে দৌড়েও হয় প্রথম।
এ বছরের দ্বিতীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণ পদক অর্জন সহ ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম,৪০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় এবং ৪০০ মিটার রিলে দৌড়ে প্রথম হয়েছে।
হাসানের এমন ক্ষিপ্রতার কারণে হাবিপ্রবি’র শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা তাকে হাবিপ্রবি’র দ্রুত মানব বলে।কেউ কেউ তো আবার তাকে হাবিপ্রবি’র উসাইন বোল্ট বলে ডাকে।
এমন বিষয়ে হাসানের কাছে জানতে চাইলে হাসান জানান,”সকলের এমন ভাবনা এবং ভালবাসা আমার কাছে সত্যি একটা অন্যরকম ভালো লাগার। ছোট থেকেই খেলাধুলা করতে পছন্দ করতাম।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও পড়ালেখার এত ব্যাস্ততার মাঝে খেলাধুলা ছাড়তে পারিনি অথবা খেলাধুলাই বোধহয় আমাকে ছাড়েনি। যাইহোক খেলাধুলা করার আরেকটি কারণ হলো খেলাধুলা করলে শরীর ও মন ভালো থাকে”।
টানা দুইবার পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে হাসান জানান,
“প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগকে সুশৃঙ্খলভাবে ২য় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ আয়োজন করার জন্য। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের প্রতি যিনি এমন সুন্দর আয়োজনের নির্দেশদাতা। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্ট খেলতে পেরে ভালো লাগছে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে (১০.৮) সেকেন্ডে আলহামদুলিল্লাহ স্বর্ণ পদক অর্জন করেছি। এর আগের আসরেও ১০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম।এই অর্জন সত্যি অনেক ভালো লাগার।এমন সাফল্য আমাকে সবসময় ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা দেয়।খেলাধুলা করার কারণে স্কুল, কলেজে আমার একটা আলাদা পরিচয় ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়েও নিজের একটা সুন্দর পরিচয় করতে পেরেছি যা আমার জন্য ইতিবাচক। আগামীতে আমাদের জুনিয়ররা আরো ভালো কিছু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসুক।তারা নিজেদের ভালো ভালো কাজ মেলে ধরবে এমনটাই প্রত্যাশা করি সবসময়ের জন্য।
“হাসান ” শুধু দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে না। সে ভালো ফুটবলও খেলে।হাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় ফুটবল দলের একজন নিয়মিত ফুটবলার। বিশ্বিবদ্যালয়ের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় খেলে থাকেন।দলকে জেতানোর ব্যাপারে তারও অসামান্য অবদান থাকে সবসময়ের জন্য।
নাঈম ইসলাম সংগ্রাম
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়