দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারো ভারতে পণ্য রফতানি শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম এ বন্দর দিয়ে রফতানি হলো ম্যাঙ্গো জুস। ১ ও ২ জুলাই—এ দুই দিনে প্রায় ২০ টন ম্যাঙ্গো জুস ভারতে রফতানি হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে।
রফতানি কাজে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি রাশেদ আহমেদ জানান, ‘আকিজ গ্রুপ ও সজিব নামের দুটি প্রতিষ্ঠান ভারতের সুকন ড্রিংকস ও দিপালী এন্টারপ্রাইজের কাছে এ ম্যাঙ্গো জুস রফতানি করছে। এর মাধ্যমে হিলি বন্দর দিয়ে নতুন পণ্যের রফতানির সূচনা হলো।
এর আগে হিলি বন্দর দিয়ে রফতানি হতো ঝুট কাপড়, প্লাস্টিক ক্যারেট, চিটাগুড় ও রাইস ব্র্যান ক্রুড অয়েল। তবে ভারতের অনীহা, কাস্টমস জটিলতা, অবকাঠামোগত সমস্যা ও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে রফতানি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। এমনকি রাইস ব্র্যান রফতানিও থেমে যায়। সবশেষ চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ১২০ টন রাইস ব্র্যান রফতানি হয়েছিল, যার মাধ্যমে আয় হয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ডলার।
শফিকুল ইসলাম নামে এক রফতানিকারক জানান, হিলি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় এখান থেকে রফতানির সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ভারতের অভ্যন্তরে কাস্টমস কর্মকর্তার অনুপস্থিতি, সংকুচিত সড়ক ও কোয়ারেন্টিন অফিসের অভাবের মতো সমস্যা সমাধানে দুদেশের সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘রফতানি কার্যক্রম আবার শুরু হওয়ায় আমরা আশাবাদী। আমরা চেষ্টা করছি, রফতানিকারকদের যেন ড্যামারেজ না গুনতে হয়। দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন ও ছাড়পত্র দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিয়মিত রফতানি শুরু হলে জাতীয় অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে।
রফতানিকারকরা বলছেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রফতানির গতি বাড়াতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনে উচ্চপর্যায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া দরকার। এতে করে সীমান্ত বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।