আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে ১৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব নৌরুটে বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নৌপথের অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ বিষয়ে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় মোট ২৪টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
গৃহীত প্রধান সিদ্ধান্তসমূহ:
- নৌযানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
- অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি রুট পারমিটও বাতিল হতে পারে।
- কোনও লঞ্চ বা ফেরি নিয়ম ভেঙে চলতে পারবে না, কর্তৃপক্ষ কঠোর মনিটরিং করবে।
- লেবার, কুলি, পোর্টাররা যাত্রীদের হয়রানি করতে পারবে না, নির্ধারিত পোশাক ও পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
- রাতে চলাচলকারী লঞ্চে চারজন আনসার সদস্য মোতায়েন করা বাধ্যতামূলক হবে।
- অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও নৌবাহিনীর বিশেষ টহল থাকবে।
- ১৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাতে স্পিডবোট চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- ঈদের সময় সদরঘাটের সংযোগ সড়কগুলো খালি রাখতে হবে, যত্রতত্র বাস দাঁড় করানো যাবে না।
- নৌযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
- যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ব্যবহার করে টিকিট ইস্যু করতে বলা হয়েছে।
- দুর্ঘটনা মোকাবিলায় জরুরি হটলাইন নম্বর (৯৯৯ ও ১৬১১৩) সক্রিয় রাখা হবে এবং ব্যাপক প্রচার চালানো হবে।
- লঞ্চ ও টার্মিনালে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে প্রচারণা চালানো হবে।
- অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে প্রস্তুত রাখা হবে এবং প্রয়োজনে ভাসমান নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে।
এমন নানা উদ্যোগের মাধ্যমে নৌপথের যাত্রীদের নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করবে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।