চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে পাঁচলাইশ, চকবাজার এবং চান্দগাঁও থানার তিনটি মামলা ও রাউজান থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার সকালে কারাগার থেকে ফজলে করিমকে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে আনা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করে। এ ছাড়া ফজলে করিমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে চিকিৎসা এবং কারা বিধি অনুযায়ী ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশও দেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন রাউজানের মুনিরিয়া যুব তাবলীগের দায়ের করা মামলায় তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান।
এদিকে, নিয়মিত আদালত শুরু হওয়ার আগে ফজলে করিমকে আদালতে হাজির করা হলে কিছু বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। এ সময় কয়েকজন প্রিজন ভ্যানে তাকে বহনকারী পুলিশের উপর ডিম ছুড়ে মারেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরে গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফজলে করিমের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, সংঘর্ষসহ চট্টগ্রামের রাউজান, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এবং কোতয়ালী থানায় মোট ১০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, অগ্নিসংযোগ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ২৩ ও ২৫ আগস্ট রাউজান থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়, যা মুনিরিয়া যুব তবলীগ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন ও সহ সভাপতি মো. জোহেল উদ্দিন করেছেন। এই মামলায় ফজলে করিমের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।