বেরোবি প্রতিনিধিঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যার্থতার কারণে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে ৩৯ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। অচল হয়ে আছে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ। সেশনজটের তীব্র আশংকা করছে শিক্ষার্থীরা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ধাপে ধাপে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন দ্বায়িত্বরত শিক্ষকবৃন্দ। ৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশিদ। এছাড়াও প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ৩টি হলের প্রভোস্টসহ মোট ৩৯ জন শিক্ষক নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলেও কার্যত নেই কোনো একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এ অবস্থায় সেশনজটের শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. রোকনুজ্জামান এই বিষয়ে বলেন, “একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা সেশন জটে পড়বেন। এ সেশন জটের কারণে তাদের ছয় মাস বা এক বছর ক্ষতি হয়ে যাবে। সব থেকে বেশি ক্ষতিতে পড়বেন শিক্ষার্থীরাই।”
এছাডাও, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘ সিন্ডিকেট ব্যাতীত একাডেমিক এক্টিভিটি চালু হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অনুযায়ী সিন্ডিকেট দিয়ে চালু করতে হবে। উপাচার্য নিয়োগ দেয়া না হলে কোনো কার্যক্রমই চালানো সম্ভব নয়।”