নানান অনিয়ম দুর্নীতির মধ্য দিয়ে চলছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল। সেবা প্রদানের পর অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বেসরকারি হাসপাতালের পরামর্শপত্র ব্যবহার,প্রাণীভেদে নির্ধারিত ফি তালিকা অনুসরণ না করা সহ দায়িত্বরত চিকিৎসকের নামে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত বছরের মে মাসে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হলেও গত ১৯ ডিসেম্বর ডা. রূপ কুমার নামে এক পশু চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেবা প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিল বিশিষ্ট পরামর্শপত্র ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও তিনি ‘ভেট এন্ড পেট কেয়ার’ নামে এক বেসরকারি পশু হাসপাতালের পরামর্শপত্র ব্যবহার করছেন। প্রদানকৃত পরামর্শপত্রে অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম,মোবাইল নাম্বার এবং হাসপাতালের ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গবাদিপশু (ছাগল) চিকিৎসা ফি ৫০ টাকা এবং মাইনর সার্জারী বাবদ ১০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া থাকলেও এক সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে তিনি চিকিৎসা ফি ৩০০ টাকা এবং মাইনর সার্জারী বাবদ আরও ২০০ টাকা আদায় করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন,”হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মূলত শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শেখানোর জন্য। চিকিৎসক যদি ব্যক্তিগত স্বার্থে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন তাহলে সেবাগ্রহীতারা আগ্রহ হারাবে এবং আমরা পর্যাপ্ত ব্যবহারিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হবো।”
অভিযুক্ত ডা. রূপ কুমার বলেন,”আমাকে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে কোন প্যাড দেওয়া হয়নি।” প্যাডে উল্লেখিত হাসপাতালের মালিকানা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এনিম্যাল সায়েন্স এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন ( এএসভিএম) অনুষদের ডিন ডা. কেবিএম সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখ করেন।
এসব বিষয়ে ডা.কেবিএম সাইফুল ইসলাম বলেন,”আমরা দুইবার রিকুইজিশন দিয়েছি সরঞ্জামাদির জন্য। এখনও পাইনি। আশা করি পেয়ে যাবো। প্যাড তৈরির কাজ কমিটি করছে। তাই সাময়িকভাবে ক্লিনিকের প্যাড ব্যবহার হতে পারে। ক্লিনিকটিতে আমরা কয়েকজন ডাক্তার বসি।” অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে বলেন,”এটা ২০২০ সালের ফি তালিকা। নতুন ফি তালিকা নিয়ে কমিটি কাজ করছে।”
মাকতুম প্রীত
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়