অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে আপত্তি বিএনপির
বিএনপি মনে করে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা।
দলটির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে মনোযোগ না দিয়ে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা এবং একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে নেতারা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং একমত হন যে,
জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।
তাদের মতে, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেও এমন কোনো নজির ছিল না।
অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ জানান,
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ থাকলেও ঢাকার রাজনীতিবিদরা এ বিষয়ে খুব একটা কথা বলছেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে শুধু জাতীয় নির্বাচনের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। অন্য কোনো বিষয়ে ভাবার সুযোগ নেই।”
বৈঠকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা এও আলোচনা করেন যে, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের বাস্তবায়ন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়।
বর্তমান সংবিধানের কাঠামো অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার শুধুমাত্র নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে।
এছাড়া বৈঠকে বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামকে সামনে রেখে জনমত গঠনের জন্য সেমিনার,
সিম্পোজিয়াম ও সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেন,
“১৬ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে।”
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ করার প্রস্তাব নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বিএনপির নেতারা একে অযৌক্তিক মনে করেন এবং ধারণা দেন যে, এটি নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল হতে পারে।
এছাড়া বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং তার সুস্থভাবে দেশে ফেরার আশা ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠক ভার্চুয়ালি পরিচালনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের স্থায়ী কমিটির সব সদস্য এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।