গাজীপুরে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গাজীপুরসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরু করা হবে, যাতে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায় এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যায়। অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করা হবে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মাহিম জানান, তারা খবর পান যে, ধীরাশ্রম এলাকায় মন্ত্রীর বাড়িতে লুটপাট চলছে। লুট ঠেকাতে তারা ঘটনাস্থলে গেলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রাত ৩টার দিকে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সমন্বয়ক সারজিস আলম। তারা আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। ঘটনার জেরে গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সরকার জরুরি ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ ছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এই অভিযানের ফলে গাজীপুরের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে।