প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ এদের গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে গতকাল, বুধবার, একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতো অবৈধ বাংলাদেশিদেরও ফিরিয়ে পাঠাবে। এ বিষয়ে ঢাকাকে ওয়াশিংটন থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশও এদের গ্রহণ করবে এবং কূটনৈতিকভাবে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে যেন ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সচিব মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে সক্ষম হয়েছে, তাই দেশীয় নাগরিকদের গ্রহণেও কোনো সমস্যা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে এবং কয়েকজনকে ইতোমধ্যেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, কবে নাগাদ এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে, এবং মেক্সিকোসহ দক্ষিণ আমেরিকার অভিবাসীরা বিশেষত লক্ষ্যবস্তু। আফ্রিকা ও এশীয় দেশের নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সম্প্রতি অবৈধ ভারতীয়দেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, বিশেষ করে জ্যাকসন হাইটস এলাকায়। তবে যাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্র না থাকা বাংলাদেশিদের সংখ্যা হাজারের বেশি নয়। ওয়াশিংটন বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে এবং সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় প্রথমে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করা হবে।