প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারীরা সরাসরি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীনে স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার ( ১৮ মার্চ) রাজধানীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারীরা তাদের চাকরির স্থায়ীকরণ এবং বর্তমান আউটসোর্সিং নিয়োগের বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক আউটসোর্সিং নিপাত যাক। বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান, আউটসোর্সিং বেমানান-সহ নানান প্রতিবাদী প্লাকার্ড হাতে প্রানিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
আগত কর্মকর্তারা জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাথমার্ক ও কৃষ্ণা সিকিউরিটিজ এর অধীনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর থেকে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (৯ম গ্রেড) এবং ২০২০ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারি (১৪তম গ্রেড) হিসেবে নিয়োগ প্রদান শুরু করে। বর্তমানে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে ৪৬৬ জন এবং প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারি হিসেবে ৯৩০ জন কর্মরত। তাদের দাবি, নিয়োগ নীতিমালায় সরকারি সকল সুযোগ প্রদানের কথা থাকলেও নিয়োগের ৪ বছর পার হলেও কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না তারা।
এসময় মানববন্ধনকারী প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা তাদের ৫ টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল – আউটসোর্সিং বাতিল করে সরাসরি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে নিয়োগ প্রদান, টাইমশিট ও পারফরম্যান্স ওডিকে নিয়ম বাতিল করে প্রতি মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে প্রাপ্য বেতন প্রদান, বিধি মোতাবেক উৎসব ভাতা এবং টিএ-ডিএ প্রদান, মাসিক বেতন ন্যূনতম ৮০,০০০ (আশি হাজার টাকা) এবং বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান, মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ (ছয়) মাস বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন প্রকারের ট্রেনিংয়ে সেশন বরাদ্দ এবং ফোকালপার্সন হিসেবে সম্মানী প্রদান করা।
একইসাথে প্রাণিসম্পদ মাঠ সহকারীরা তাদের ৭ টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল – আউটসোর্সিং বাতিল করে সরাসরি নিয়োগ প্রদান, মাসিক বেতন নুন্যতম ৩৫,০০০/- টাকা প্রদান, যাতায়াত বাবদ মাসিক ভাতা ৫,০০০/- টাকা প্রদান, সকল প্রকার উৎসব ভাতা প্রদান, প্রতি পিজি ট্রেনিং-এ সম্মানী প্রদান, মার্তৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস প্রদান এবং বকেয়া বেতন ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান।
এসব বিষয় নিয়ে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি ডাঃ রতন রহমান বলেন, “আউটসোর্সিং নিয়োগে আমাদের সকল সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা থাকলেও এখন অবধি আমরা জানুয়ারি মাসের বেতন পাইনি। দেশের সকল চাকুরিক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস হলেও আমাদের ক্ষেত্রে মাত্র ১০৫ দিন। আমাদের ফিল্ড লেভেলে কাজে সবসময় যাতায়াত করতে হয়, কিন্তু আমাদের যাতায়াতের কোন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় না। এ নিয়ে আমরা কয়েকবার স্মারক লিপি প্রদান করলেও শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এবার আমরা দেশের সকল স্থান থেকে সকল প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ এবং মাঠসহকারী কর্মকর্তা একত্রিত হয়েছি আমাদের দাবিগুলো আদায় করতে। আমাদের দাবি গুলো কোন অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়া নয় এগুলো আমাদের অধিকার।”