কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের বিরুদ্ধে শুক্রবার(২ আগস্ট) জুমার নামাযের পর ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষনা দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোতে প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ(১ আগস্ট) গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মিছিলের কর্মসূচি ঘোষনা করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুক কাদের।
মসজিদ, মন্দির, গির্জা সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত,আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের জন্য প্রার্থনা করার আহবান করা হয়েছে সমন্বয়কদের পক্ষ হতে। জুমার নামাযের পর শ্রমজীবী, চাকুরিজীবী,মানবাধিকার কর্মী সহ সর্বস্তরের জনগণকে এই মিছিলে অংশ গ্রহনের আমন্ত্রন জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রসমাজ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম সহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয়জন সমন্বককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হলেও, বরিশালে আটককৃত ছয় সমন্বয়ক, ডাকসুর সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক আক্তার হোসেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ হোসেন সহ আটককৃত সকলকে রিমান্ডে নিয়ে নানা ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে দাবি জানান তারা।
আন্দোলনে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের গণগ্রেফতার ও পুলিশি নির্যাতন করা হচ্ছে। আটক করে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষিকা শেহরীন আমিন মোনামী ও নুসরাত জাহান চৌধুরীর গায়ে পুলিশ হাত দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা।
উল্লেখ্য, আজ(১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ছয় সমন্বয়কে ডিবি হেফাজত থেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এর পরই “প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল” নামে নতুন কর্মসূচির ঘোষনা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।