মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে আজারবাইজানের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে রাশিয়ার হাত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহ করা হচ্ছে যে গত ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানটি রাশিয়ার ভূমিকা থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। খবর বিবিসির।
তবে এই দাবির পক্ষে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি কিরবি। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তদন্তে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিমানটি চেচনিয়ায় অবতরণের চেষ্টা করার সময় রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আঘাতে পড়ে যায় এবং পরবর্তীতে কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে রাশিয়ার ক্রেমলিন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, চেচনিয়ার পরিস্থিতি ইউক্রেনের ড্রোন হামলার কারণে অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছিল।
এদিকে, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এবং আজারবাইজানের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিমানের জিপিএস সিস্টেম ইলেকট্রনিক জ্যামিং দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। এটি রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আজারবাইজান সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করেনি।
আজারবাইজানের পরিবহনমন্ত্রী রাশাদ নাবিয়েভ জানিয়েছেন, বিমানের বেঁচে থাকা যাত্রীরা গ্রোজনি এলাকায় তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তদন্তে এখন বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এবং সম্ভাব্য অস্ত্র বা রকেটের ধরন চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরএস//বিএন