আত্মউন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে সবচেয়ে বেশি সহায়ক। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও একস্ট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস তাদের জ্ঞানের গভীরতা তৈরি করে। এসকল গুণাবলি আগামী বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে শিক্ষার্থীদেরকে এগিয়ে রাখবে।
দ্যা নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’ স্টুডেন্টস (নিলস), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুইমাস ব্যাপী স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের সমাপনী সেশনে এসব কথা বলেন বক্তরা।
গতকাল দুপুর তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী সেশন। এছাড়া এই সেশনে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের সমাপনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া বলেন, এরূপ আত্মউন্নয়নমূলক কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যত গঠনে সহায়ক হবে। আগামী বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে আত্মউন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিক্ষার্থীদেরকে এগিয়ে রাখবে। এমন কর্মসূচি আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, শিক্ষা জীবনে জ্ঞানের গভীরতা শিক্ষার্থীদের সবসময় এগিয়ে রাখে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও একস্ট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস তাদের জ্ঞানের গভীরতা তৈরি করে। এর ফলে শিক্ষার্থী হিসেবে তুমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখবে। শিক্ষার্থীদের একস্ট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথকে আরও সুগম করে তোলে।
এসময় নিলস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রেসিডেন্ট, রাব্বি তাওহিদ বলেন, নিলস সিইউ চ্যাপ্টার কর্তৃক আয়োজিত এই কর্মসূচির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটেছে এবং তাদের নিজেদের সক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের গুণাবলীকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। আমরা আশা করছি, প্রতিটি সেশন শিক্ষার্থীদের জীবনে একটি নতুন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির জেনেরাল সেক্রটারি ইতমিনান মনির বাসিলিস বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করা। যাতে আমাদের সদস্যরা ভবিষ্যতে যে কোন ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে। আমরা আশাবাদী যে আমরা তা করতে পেরেছি।
জানুয়ারীতে শুরু হওয়া দুই মাস ব্যাপী এই কর্মসূচীর আওতায় শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রেজেন্টেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, জনসমক্ষে বক্তব্য, পোস্টার তৈরি, পাওয়ারপয়েন্ট ও স্লাইড তৈরি, গবেষণা পদ্ধতি, প্রবন্ধ রচনা এবং পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের ম্যাস মিডিয়া পার্টনার ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, অনলাইন মিডিয়া পার্টনার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, টিভি মিডিয়া পার্টনার সময় টিভি, প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার দৈনিক পূর্বকোণ এবং ফুড পার্টনার হিসেবে ছিল স্ন্যাকজা।
সুমন ইসলাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়