কোটা সংস্কার আন্দোলন এর জের ধরে দেশ প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। যানবাহন থেকে শুরু করে ইন্টারনেট সেবা পর্যন্ত বন্ধ ছিল প্রায় ৫ দিন। ২৪ জুলাই রাত থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও তা প্রয়োজনীয় গতি সরবরাহ করতে পারছে না। দুর্বৃত্ত দের দেয়া আগুনে ইন্টারনেট সংযোগের প্রধান লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। এতে করে সকল ধরনের ব্যাংকিং, ইমিগ্রেশন, আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়, ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান সহ সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কাজ কর্ম অচল হয়ে পড়ে।
আমদের দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশ বৈদেশিক মুদ্রার সাহায্যে চলছে এবং ব্যাংক গুলো অনলাইন নির্ভর। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে এই পাঁচ দিনে বিদেশ থেকে কোনো টাকা দেশে আসে নি এবং দেশের কোনো রপ্তানি পন্য বিদেশে পাঠানো সম্ভব হয়নি। দেশের যেসকল ব্যবসায় রয়েছে সেগুলোও কোনো ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারে নি। এছাড়াও টাকা লেনদেন এর সাথে সম্পৃক্ত যেসকল মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেমন – বিকাশ, রকেট, নগদ এসব মাধ্যমের আর্থিক লেনদেন বন্ধ ছিল।
ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করলে এই এক সপ্তাহে আন্দোলনকে ঘিরে এবং ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দেশ প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।