আপেল খাওয়ার সময় খোসাসহ খাবেন নাকি ছাড়িয়ে, এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বিধা দেখা যায়। অনেকেই মনে করেন, আপেলের খোসায় কীটনাশকের উপস্থিতি থাকতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপেলের খোসা ফেললে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায়। তাই স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে এটি খোসাসহ খাওয়াই ভালো।
কীভাবে আপেল খাবেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, আপেলের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে খোসাসহ খাওয়াই উপকারী। তবে এটি খাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত, যাতে ময়লা বা কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ দূর হয়।
আপেলের খোসার উপকারিতা
১. হজমে সহায়ক ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
আপেলের খোসায় দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়— উভয় ধরনের ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি, এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
২. ভিটামিনের চমৎকার উৎস
আপেলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও এ থাকে। গড়ে প্রতিটি আপেলের খোসায় ৮.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
৩. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
২০০৭ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, আপেলের খোসায় থাকা ট্রাইটারপেনয়েড নামক যৌগ ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সহায়তা করে। এছাড়া, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
৪. শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা
আপেলের খোসায় কোয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে পাঁচটি বা তার বেশি আপেল খান, তাদের শ্বাসযন্ত্র সাধারণ মানুষের তুলনায় ভালো থাকে।
৫. ওজন কমাতে সাহায্য করে
যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তারা আপেল খোসাসহ খেতে পারেন। এতে থাকা ইউরসোলিক অ্যাসিড শরীরের অবাঞ্ছিত ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।
আপেলের খোসা ফেলে দিলে শরীর প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। তাই স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে খোসাসহ আপেল খাওয়াই ভালো, তবে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত।