সূর্যমুখী ফুলের বাজারেও চাহিদা কম থাকলেও, মানুষের কাছে কম নয় । সূর্যমুখী ফুল সূর্যের মতোই, এর সৌন্দর্য মানুষকে আলোকিত করে।
কৃষক অশোক চন্দ্র দেব চাষ করেছেন সূর্যমুখী। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলেও ভালো ফলন দেখে স্বপ্ন বুনছেন এলাকার অন্যান্য কৃষকরা।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের মাসকান্দী গ্রামে বাম্পার ফলন হয়েছে সূর্যমুখী।
সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল প্রকৃতিপ্রেমী ছুটে আসছেন পরিবার নিয়ে। গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সূর্যমুখীর আবাদ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার।
সদর উপজেলার কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মাসকান্দী গ্রামে ৩০ শত জমিতে কৃষক অশোক চন্দ্র দেব সূর্যমুখী চাষ করেছেন। দেশি ঘানি ব্যবহার করলে পরিপক্ক সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ভাঙানো যায়। এই তেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কম।
বর্তমানে প্রতিদিন সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকেই ভিড় করছেন সেখানে। চৈত্রের শুরুতেও যেন বসন্ত হাওয়া বইছে চারপাশে।
তিনি বিগত ৫ বছর ধরে ৪০ শত জমিতে সরিষা, মিষ্টি লাউ, টমেটো উৎপাদন করে বাণিজ্য ভাবে লাভবান হয়েছেন । অশোক কৃষকের এমন উৎপাদন দেখে অনেকে কৃষি কাজে উদ্যোক্তা হতে চান ।
প্রতিবেশী বিকাশ ঘোষ বলেন , কৃষক অশোক চন্দ্র দেব এর কৃষি কাজে এমন উদ্যোক্তা দেখে অনেক ভালো লাগতেছে। প্রতিদিন গ্রামের অনেক মানুষ দেখতে আসে সূর্যমুখী ফুলের বাগান ।
কৃষক অশোক চন্দ্র দেব বলেন , সদর উপজেলার কৃষি অফিসার আমতৈল এর দায়িত্ব প্রাপ্ত দিপীকা রানী ও উত্তম দাশ আমাকে সহযোগিতা করেছেন বীজ সার দিয়ে।
আমি আশাবাদী ফলন ভালো হয়েছে , কিন্তু ফুল ফোটার পর টিয়া পাখি ফুল নষ্ট করতেছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ – সহকারি কৃষি কর্তাকতা উত্তম কুমার দাশ বলেন , আমতৈল ইউনিয়নে সব কৃষক কে আমরা কৃষি করা জন্য সরকার থেকে বীজ সার দেই, অনেকে করে আবার অনেকে করে না।
আমি আশাবাদী অশোক চন্দ্র দেব এর সূর্যমুখী চাষ দেখে আগামী বছর এই ইউনিয়নে প্রতিটা গ্রামে সূর্যমুখী চায় হবে।