আজ বুধবার দুপুরে করিম নগরে তৌফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার দুই সন্তান তাসফিয়া তাহসিনা (৭) ও আহমেদ রুসাফি (৫) কাঁদছে। বাবা ইকবাল হোসেন, মা দিল আফরোজ ও স্ত্রী জোবায়দা নোমান প্রায় বাকরুদ্ধ।
ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের মা দিল আফরোজ বলেন, ‘বউমার সাথে কথা বলার পর ও (তৌফিক) আমার সাথে কথা বলে। বলল-আম্মা আমি ভালো আছি, চিন্তা করো না। আমি বললাম চিন্তা তো লাগেই। কী করব যে অবস্থায় তোমরা আছ, বন্দী অবস্থায়, টেনশন তো হয়। এই বলতে বলতেই আর কথা নাই। মনে হলো মোবাইল ফোনটা কেড়ে নিল। এই শেষ কথা হয়েছে আমার সঙ্গে।’
তৌফিকুল ইসলামের স্ত্রী জোবায়দা নোমান বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে কথা হয়েছিল। তিনি ফোনে বলেছেন, দোয়া করো। আমাদের সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে, হয়তো আর যোগাযোগ হবে না। কী হবে কিছুই তো আসলে জানি না। এটাই শেষ কথা। এরপরে আম্মার (শাশুড়ি) সাথে কথা বলার সময় ফোনটা কেটে যায় এবং বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে ইফতেখার স্যার ফোন করে পরিবার থেকে লোক পাঠাতে বলেছিলেন। আমার মেজ ভাশুর এবং আমার ভাই দুজনে চট্টগ্রাম গেছেন। আমাদের দাবি একটাই সবকিছুর বিনিময়ে হলেও সে (তৌফিকুল) আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। তার সহকর্মীরাও আল্লাহর রহমতে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসুক।’
এ দিকে ছেলের শোকে বাবা ইকবাল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।