বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মে শুরু হওয়া আন্দোলন ছাত্রসমাজের গণ্ডি পেরিয়ে ছুঁয়ে গেছে দেশের প্রতিটা মানুষকে। স্বপ্ন দেখিয়েছে সবাইকে এক নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। দেশের মানুষকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠনের যাত্রায় ছাত্রসমাজের সম্মুখে থেকে বিপ্লবী নেতৃত্ব দিয়ে জনমনে ঠাঁই করে নিয়েছেন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আসিফ মাহমুদ কুমিল্লার সন্তান। তাঁর জন্ম ১৯৯৮ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. বিল্লাল হোসেন, মা রোকসানা বেগম। তিনি এসএসসি পাস পরেন ঢাকার নাখালপাড়া হোসেন আলী হাই স্কুল থেকে ২০১৫ সালে। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে ২০১৭-১৮ সেশনে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত আছেন।
২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন আসিফ। আসিফ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অধীনে ক্যাম্পাসে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন আসিফ মাহমুদ। তবে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কয়েকমাস পরে সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন তিনি। এ সময় আরও অনেকেই একই অভিযোগ তুলে উক্ত সংগঠন থেকে বেরিয়ে যায়।
এরপর আগের সংগঠন থেকে বেরিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ২০২৩ সালে ৪ অক্টোবর নতুন ছাত্র সংগঠন হিসেবে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ আত্মপ্রকাশ করে। নতুন এই সংগঠনটির ঢাবি কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য আরও ১৩ উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। উপদেষ্টাদের মধ্যে জায়গা পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
শুভ/রুশু//